সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: ভূমিরূপ ও তার শ্রেণীবিভাগ

ভূমিরূপ কাকে বলে?
ভূপৃষ্ঠ অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়, ভূপৃষ্ঠের এই বৈচিত্র্যময় রূপকেই বলা হয় ভূমিরূপ। অর্থাৎ ভূমির আকৃতি, গঠন, উচ্চতা, ঢাল ও বন্ধুরতা অনুসারে ভূপৃষ্ঠ যেরূপে দৃশ্যমান হয় তাকেই বলা হয় ভূমিরূপ। ভূমিরূপ সাধারণত দুই প্রকার। যথা- আদি ভূমিরূপ ও পরিণতি সূচক ভূমিরূপ।
পর্বত কাকে বলে?
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 1000 মিটার এর বেশি উচ্চতা সম্পন্ন বিস্তৃত ভূমিরূপ যার প্রকৃতি বন্ধুর এবং অসংখ্য শৃঙ্গ বর্তমান তাকে বলা হয়। যেমন- হিমালয়, আল্পস, রকি পর্বত।
ভঙ্গিল পর্বত কাকে বলে?
গিরিজনি আলোড়ন এর প্রভাবে অথবা পাশাপাশি চাপের ফলে ভূপৃষ্ঠের পাললিক শিলা স্তর ভাত খেয়ে উপরে উঠে এসে যে ধরনের পর্বতের সৃষ্টি হয় তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলা হয়। যেমন- হিমালয় পর্বত এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
ভঙ্গিল পর্বতের কতগুলি বৈশিষ্ট্য লেখ।
ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য গুলি হল-
এই পর্বত সাধারণত পাললিক শিলা স্তর দ্বারা গঠিত।
প্রবল চাপের কারণে এই পর্বতে বিভিন্ন প্রকার ভাঁজ ও চ্যুতি লক্ষ্য করা যায়।
এই পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ।
মহীখাত কি?
প্রাচীনকালে মহাদেশের অভ্যন্তরভাগ সংযোগস্থলে অগভীর সমুদ্র যেখান থেকে পলি সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভঙ্গিল পর্বতের উত্থান হয়েছে তাকেই মহীখাত বলা হয়। মহীখাত গুলি সাধারণত সংকীর্ণ, দীর্ঘ ও অগভীর হয়। এর আরেক নাম জিওসিনক্লাইন।
ক্ষয়জাত বা অবশিষ্ট বা নগ্নিভূত পর্বত কি?
ভূপৃষ্ঠের উপরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি যথা নদী বায়ু হিমবাহ প্রভৃতি অনবরত ভূপৃষ্ঠকে করে চলেছে। ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত বিভিন্ন প্রকার পর্বত মালভূমি দীর্ঘকাল দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত ক্ষয় হয়ে নিচু পর্বতের আকারে অবস্থান করলে তাকে হয়তো বা অবশিষ্ট পর্বত বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ভারতের আরাবল্লী পর্বত।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা কি?
পৃথিবীর মোট আগ্নেয়গিরির প্রায় ৮০ শতাংশই প্রশান্ত মহাসাগরে উভয় পাশে অবস্থিত। এই বলয়টিতে অসংখ্য আগ্নেয়গিরির অবস্থানের কারণে এটিকে 'প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা' বলা হয়।
সমপ্রায় ভূমি বা মোনাডনক কি?
কোন উঁচু ভূভাগ দীর্ঘকাল ধরে ক্ষয়প্রাপ্ত হলে মৃদু ঢেউ খেলানো প্রায় সমতল ভূমিতে পরিণত হয়। একে সমপ্রায় ভূমি বা মোনাডনক বলা হয়। উইলিয়াম মরিস ডেভিস প্রথম এই ভূমিরূপটির নামকরণ করেন।